মালদার চাঁচল ১ ব্লকে শুরু হল ছাত্র যুব উৎসব

22nd January 2020 বিনোদন
মালদার চাঁচল ১ ব্লকে শুরু হল ছাত্র যুব উৎসব


চাঁচল ১ নং ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী স্কুল মাঠে  ছাত্র যুব উৎসব শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। দুদিনের এই যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের আয়োজিত ছাত্র যোব উৎসব প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে  সূচনা করেছিলেন চাঁচল ১নং ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য্য । উপস্থিত ছিলেন, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আজমেরী খাতুন, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন প্রমুখ,তৃনমুল ছাত্র পরিষদের কার্যনির্বাহক বাবু সরকার, মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় সহ যুব মেলার MIC প্রতিনিধি ফারুক প্রমুখ।  ছাত্রযুব উৎসব প্রাঙ্গনে রবীন্দ্র সংগীত,নজরুল গীতি, লোক সংগীত,বসে আঁকো, নৃত্য সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজেতা প্রতিযোগিদের বুধবার  পুরস্কৃত করা হয়েছে। এলাকার ছাত্রছাত্রীদের মন কেড়েছে এই উৎসব।

                ছবি - দেবাশীষ পাল 





Others News

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী

ফিরে এসো অপু - আকুল প্রার্থনায় আপামর বাঙালী


                    সৌম‍্য ঋষি 

----------------------------------------

আপনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, গভীর রাতে বা ভোরবেলা ফোন বাজলেই চমকে ওঠেন। আবার কারও মৃত্যু সংবাদ এল কি?  এবার কার পালা! 
রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, "আমি পরাণের সাথে খেলিব আজিকে মরণখেলা নিশীথবেলা।" তেমনই আপনার কন্ঠে -" মৃত্যু আয় তিনপাত্তি খেলি"- অমর হয়ে থাকবে। যদিও আপনি লেখেননি, তবু যেন এটা আপনার। আপনার মনের কথাগুলি যেন অনেকদিন বাদে বললেন। আপনার সাদাকালো সিনেমা দেখে যেই প্রজন্ম বড় হয়েছেন তাদের মনে সবসময় আপনাকে আর উত্তম কুমারকে নিয়ে একটা তুলনা চলত। কিন্তু তারাও আপনার অভিনয়ের, কন্ঠের ভক্ত। অথচ বিশ্ববরেণ্য পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন আপনি।  আমরা যারা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের দিকে চলেছি এবং প্রতিনিয়ত আপনার নতুন নতুন কাজ দেখছি, তারা আপনার আকুল ভক্ত। ছোট ছোট বাজেটের ছবি, আর তাতে আপনার উপস্থিতি ছবিটিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যায়।  আমরা অপুকে চিনি, ফেলুদাকে চিনি, জীবনে কি পাব না গানের সাথে নৃত্যরত সেই অভিনেতাকে যেমন চিনি, তেমন চিনি সেই অগ্রদানী ব্রাহ্মণকে - যার অসহায়তা চোখের জল ধরে রাখতে দেয় না - আবার কুন্তল কেও চিনি, পোস্তর দাদুকে চিনি, বেলাশেষের সেই বৃদ্ধকে চিনি, ধর্ষিতা নাতনির হয়ে বদলা নেওয়া ইঞ্জিনিয়ার  দাদুকে চিনি। পর্দায় আপনার সৌম্যদর্শন চেহারা, বিরামহীন এই কর্মজীবন শুধু আমাদের নয়, আমাদের পরের প্রজন্মকেও আপনার ডাই হার্ট ফ্যান করে তুলেছে। আজ মৃত্যু আপনার কাছে একটি আবশ্যিক ঘটনার মতো। রেখাপাত করার মতো নয়।  কারণ আপনি লিজেন্ড।  আমরা আপনাকে চিনি আপনার কাজ দিয়ে। যা আপনাকে চিরজীবী করবে। ব্যাক্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কেমন থাকেন, তাঁর নিজস্ব দুঃখ সুখ,তাঁর জীবনটা কি আমাদের মতোই সাধারণ না রূপকথার মতো - জানি না কিছুই। আপনি এই অসাধ্যসাধনটি করতে পেরেছেন। আমরা ঋদ্ধ হয়েছি আপনার কাজে। প্রণম্য আপনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। না হয় আপাতত কাজ নাই করলেন। তবু জানব আছেন। আর যদি মৃত্যু আপনাকে ডেকে নেয়, তার কারণ অন্য হোক। করোনায় মরণ আপনার জন্য কাম্য না। কক্ষোনো না কক্ষোনো না ----

ছবি : সংগৃহিত